মঙ্গলবার, ১৫ Jul ২০২৫, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
ভালুকায় জালিয়াতের মাধ্যমে ভূমি নামজারির অভিযোগ
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় জাল রেকর্ডীয় এসএ খতিয়ান তৈরি করে নামজারি জমা খারিজ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে। রেকর্ডীয় খতিয়ানে মালিক চারজন থাকলেও তিনজন দেখিয়ে নামজারি করেন। অভিযুক্তরা হলেন- জিয়াউর রহমান গং। নামজারি বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি’র আদালতে মিস মোকদ্দমা দায়ের। ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে রেকর্ডীয় মালিক চারজন পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা।
বাদী ও কাগজপত্র পর্যালোচনায় জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন জামিরদিয়া মৌজাস্থিত এসএ রেকর্ড ১০৩ নং খতিয়ানে বিভিন্ন দাগে তাহের উদ্দিন, কাজিম উদ্দিন, হালিম উদ্দিন উভয় পিতা আছিম উদ্দিন এবং আঃ গনী পিতা ফজর আলী নামে ৭ একর ৬৪ শতাংশ জমি সঠিকভাবে রেকর্ড লিপিবদ্ধ হয়। উক্ত এসএ ১০৩নং খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক চারজন থাকলেও আব্দুস ছাত্তার মাস্টার ও জিয়াউর রহমান গং জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডীয় মালিক হালিম উদ্দিনের নাম বাদ দিয়ে খতিয়ানের তিনজনকে মালিক উল্লেখ করে হারাহারি অংশ মোতাবেক প্রাপ্য জমি দাবী করে নামজারী জমা খারিজ করেন মোঃ মিজানুর রহমান, মতিউর রহমান, আব্দুল আলী, জিয়াউর রহমান, আব্দুস ছাত্তার মাস্টার, কমলা খাতুন, রহিমা খাতুন। এ ঘটনায় জমাখারিজ সমুহ বাতিল করে মুল হোল্ডিং ও খতিয়ানে ফেরত নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি’র আদালতে মিস মোকদ্দমা ১০৭৫ ( xii) দায়ের করেছে তাহের উদ্দিনের ছেলে মোঃ মফিজ উদ্দিন। এ বিষয়ে ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে রেকর্ডীয় মালিক চারজন পেয়ে মিস মোকদ্দমার প্রতিবেদন দাখিল করে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা।
ভোক্তভোগী পরিবারের দাবী উপজেলার জামিরদিয়া মৌজা এস এ ১০৩ খতিয়ানের রেকডীয় জমির মালিক তাহের উদ্দিন, কাজিম উদ্দিন, হালিম উদ্দিন এবং আব্দুল গনী নামে চারজন। তবে অভিযোক্তরা হালিম উদ্দীনের নাম গোপন রেখে বাকী তিনজনকে মালিক দেখিয়ে নামজারি করিয়ে জমি দখলে নেন।
হবিরবাড়ী ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় এসএ ১০৩ নং খতিয়ানে চারজন মালিক রয়েছে সে-মতেই প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে বিবাদীগণ রেকর্ডীয় মালিক তিনজন দাবী করলেও প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে আব্দুস ছাত্তার মাস্টার এসএ ১০৩ নং খতিয়ানে চারজন মালিকের নাম রয়েছে বলে স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন বিষয়টি মামলাধীন আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্ব সহকারী কমিশনার ভূমি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, এই মামলাটি শুনানিধীন রয়েছে কাগজপত্র পর্যলোচনা করে আইন মোতাবেক সঠিক রায় প্রদান করা হবে।